চুলে খুশকি সমস্যা ও সমাধান
চুলের খুশকি সমস্যা ও সমাধান চুল মানুষের বাড়তি সৌন্দর্যে অনেক বড় ভূমিকা রাখে। আর সেই চুল যদি আপনার অবহেলার কারণে ঝরে পড়ে যায়। তবে আপনি আপনার সৌন্দর্য একটি বড় অংশ হারালেন। এই খুশকি সমস্যা আমাদের অনেককে অনেক বেশি ভোগান্তি দিয়ে থাকে। খুশকি হলে যেমন বিরক্ত বোধ করি, তেমনি অনেক খারাপ লাগে। শীত এলেই বেড়ে যায় খুশকির সমস্যা। শীতের সময় মাথায় চামড়াটা অনেক শুষ্ক হয়ে যায় তাই এসময়ে খুশকির উপদ্রব বেড়ে যায়।
এমনকি গরমে মাথা ঘেমেও চুলের গোড়াতে ধুলাবালি আটকে থাকলে তার জন্যও খুশি হতে পারে। আপনার প্রতিদিনের খাবারে ভিটামিন সি ও জিংক যুক্ত কম থাকলে খুশি সমস্যা দেখা দেয় দিতে পারে। আপনি মানসিক চাপের কারণে শ্যাম্পু ব্যবহার না করার কারণে খুশকি দেখা দিতে পারে।সাধারণত নবীন বয়সিদের মধ্যে খুশির উপদ্রব বেশি দেখা যায় কারণ এই বয়সে শরীরের হরমোন পরিবর্তন হয় সে কারণে খুশকি হতে পারে। নিচে কয়েকটি খুশকি হওয়ার কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো,
খুশকি হওয়ার কারণঃ খুশকি হওয়ার প্রধান কারণগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো,
১.চুল অপরিষ্কার রাখা : চুলে ময়লা ধুলাবালি ঘাম ইত্যাদি জমলে সেটা সঠিকভাবে পরিষ্কার না করলে। পরবর্তিতে সে ধুরাবালি মাথার ত্বকের থেকে মিশে খুশকি সৃষ্টি হতে পারে।
২.শুষ্ক ত্বক: শীতকালের সময় আবহাওয়া আদ্রুতা অনেক বেশি কমে যায়।তার ফলে শরীরের ত্বকের পাশাপাশি মাথার ত্বকও শুষ্ক হয়ে ওঠে। আর এই শুস্ক ত্বকের কারণে খুশকি বেশি হতে পারে।
৩.তেল ব্যবহার: যারা মাথায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করেন তাদের উদ্দেশ্যে বলতেছি, এই অতিরিক্ত তেল ব্যবহারের কারণেও আপনার চুলের গোড়ায় তৈল এর স্তর জমা হয়ে পরবর্তীতে সেখান থেকে খুশকি বাড়তে পারে।
৪.শ্যাম্পু ব্যবহার না করো: সময় মত শ্যাম্পু না করা যেমন কমপক্ষে সপ্তাহে ১ থেকে ২ দিন পরিমাণ মত শ্যাম্পু না ব্যবহার করার কারণে আপনার মাথার ত্বক অপরিষ্কার থাকে এর ফলে খুশকি উপদ্র বৃদ্ধি পায়।
৫.অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা টেনশন : যারা অতিরিক্ত চাপের মধ্যে থাকেন তাদের খুশকি হবার সম্ভাবনা অনেকটা বেশি। অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও টেনশন খুশকি হওয়ার অন্যতম একটি কারণ।
৬ সঠিক খাদ্য অভাব: আপনার দৈনদিন খারাপ তালিকাতে ভিটামিন “বি” ও জিংক জাতীয় খাবার না রাখা।
Also my link…
বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন মূলভাব
আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক খুশকি দূর করার সমাধান
১. নিম পাতা: প্রথমে ৩ থেকে প কাপ পানির সাথে কিছু পরিমান নিমপাতা ভাল করে সিদ্ধ করে নিতে হবে। পরে নিমপাতা ভালো করে বেটে মলম এর মত করে মাথায় লাগিয়ে 45 থেকে 50 মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর পরিষ্কার পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
২.নারিকেল তৈলঃ খুশকি দূর করার ক্ষেত্রে নারিকেল তেলের ভূমিকা অপরিসীম।তাই পরিমাণমতো নারকেল এর সঙ্গে একটুকরা লেবুর রস নিয়ে।পরে দুইটা একসাথে ভাল করে মিক্স করে চুলের গোড়ায় ভালো করে মালিশ করে দিতে হবে। 15 থেকে 20 মিনিট পর ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।এমন ভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এটা ব্যবহার করতে হবে।
৩.পেঁয়াজের ও লেবুর রস: পরিমাণ মতো পেঁয়াজ নিয়ে ভালো করে বেটে নিতে হবে।তার সাথে পরিমাণ মতো লেবুর
রস দিতে হবে। সাথে অল্পকিছু নারিকেল তৈল দিতে হবে। লেবু ও পেঁয়াজের রস একসাথে সুন্দর করে মিক্স করতে হবে।এরপরে মাথার ত্বকে ভালোভাবে মেসেজ করতে হবে দুই থেকে পাঁচ মিনিট এর মত। পরে 15 থেকে 20 মিনিট পরে সুন্দর করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে খুব তাড়াতাড়ি খুশকি সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
৪.ডাক্তারি ফরমুলাঃ অনেক চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী
খুশি নিরসন শ্যাম্পু বা তৈল ব্যবহার করতে পারেন। যেমন,
অ্যালোভেরার,কিটাকোনাজর শ্যাম্পু এবং সিলিকপ্লাস শ্যাম্পু
ইত্যাদি এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
বিশেষবস্তব্য: চুলের খুশকি সমস্যা ও সমাধান এত কিছু ব্যবহার করার পরেও যদি আপনার চুল খুশকি স্বাভাবিক বা নিরসন না হয় তাহলে আপনার বাসার নিকটের হসপিটাল বা ভালো চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরমর্শ নিন,,ছোট সমস্যা ভেবে বসে থাকবেন না, মনে রাখবেন ছোট সমস্যা থেকে বড় সমস্যার সৃষ্টি হয়,,তাই যত তাড়াতাড়ি পারেন পরমর্শ নিবেন।